বৃহস্পতিবার, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২০শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নিবন্ধন পাচ্ছে ‘আমজনতার দল’, প্রতীকের বিষয়ে যা জানা গেল *** এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হতে পারে, জুবাইদা রহমান ঢাকায় আসছেন *** খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে আইজিপি ও ডিএমপির কমিশনার *** আগামীকাল লন্ডনে নেওয়া হতে পারে খালেদা জিয়াকে *** তারেক রহমান এসএসএফ নিরাপত্তা পাবেন কিনা, যা জানালেন সৈয়দা রিজওয়ানা *** কিশোরগঞ্জের ইউএনও হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক লাক্স সুন্দরী *** ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে ‘বর্ণবাদের দুর্গন্ধ’ *** আগামীকাল সকালে দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন জোবাইদা রহমান *** তেলের দাম বাড়ানো ব্যবসায়ীদের ‘কারণ দর্শানোর’ নোটিশ দিয়ে বৈঠকে ডেকেছে সরকার *** ৭ দিন নীরবতার পর ইমরানের টুইট, ভেঙে দিলেন দলের রাজনৈতিক কমিটি

ঝিনাইদহের জনপ্রিয় ‘ল্যাংচা মিষ্টি’ : কী এর বিশেষত্ব

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:৪০ অপরাহ্ন, ২৫শে নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের যে মিষ্টিকে এক নামে সবাই চেনে, সেটি ‘ল্যাংচা মিষ্টি’। শুধু ঝিনাইদহ নয়, আশপাশের জেলাতেও এই মিষ্টি দারুণ জনপ্রিয়। সকাল থেকেই তাই মিষ্টির দোকানে শুরু হয় জমজমাট বেচাকেনা। দুপুর ১২টার পর আর কোনো মিষ্টি অবশিষ্ট থাকে না।

এই মিষ্টির কেজি ১৪০ টাকা। প্রতি কেজিতে থাকে ১১ পিস। এত কম দামে সুস্বাদু মিষ্টি মেলায় এর চাহিদা বছরজুড়েই থাকে। কালীগঞ্জ সদরের ফয়লার কোলা রোডে এই মিষ্টির দোকানের অবস্থান। 

এলাকাবাসী জানান, ল্যাংচা প্রথম বিক্রি শুরু করেন সুবল গাড়াল। ১৫ বছর আগে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর থেকে তার ছেলেরা এই ব্যবসার হাল ধরেন। দুজন দুটি দোকান চালান। একটির নাম 'সুবল ল্যাংচা' ও আরেকটির নাম 'মেজদার জলযোগ।'

শ্যামল কুমার জানান, বাবার মৃত্যুর পর সে ও তার মেজো দাদা এই ব্যবসার হাল ধরে।  তার দোকানের নাম সুবল ল্যাংচা ও তার দাদার দোকানের নাম মেজদার জলযোগ। প্রতিদিন দুই দোকানে প্রায় ৬০০ কেজি মিষ্টি বিক্রি হয়। ১০ জন লোক তাদের দোকানে কাজ করেন। যশোর, কুষ্টিয়া, মাগুরা, ফরিদপুর, খুলনা ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এই মিষ্টি সরবরাহ করা হয়। দুপুর ১২টার পর আর কোনো মিষ্টি অবশিষ্ট থাকে না।

আরো পড়ুন : খেয়েছেন কি জামালপুরের সুস্বাদু প্যারা সন্দেশ

তিনি আরো জানান, একবার তার এই মিষ্টি যদি কেউ খায়, আবার খেতে ইচ্ছা হবে। যেমন নরম, তেমন স্বাদ, যোগ করেন তিনি।

এই সময়ে এসে কম দামে কীভাবে মিষ্টি দিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবা অনেক বছর ব্যবসা করেছেন। এখন নানা জেলা থেকে মানুষ কেনে, আমাদের বিক্রি অনেক বেশি। তাই এখনও কম দামে দিতে পারছি, আমাদের পুষিয়ে যাচ্ছে।

মিষ্টির ক্রেতা, সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা বলেন, স্কুলের বিভিন্ন মিটিংয়ে আমরা এই মিষ্টি পরিবেশন করি। অত্যন্ত সুস্বাদু।

কালীগঞ্জের ব্যবসায়ী রুহুল আমিন বলেন, অতিথি আপ্যায়নে এই মিষ্টির কোনো তুলনা নেই।

সলিমুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরীজা সিদ্দিক ও ফাতেমা ইসলাম রুহানি আক্তার রিনি বলে, এই দোকানটা আমাদের স্কুলের সামনে। আমাদের অতি প্রিয় এই মিষ্টি। খুবই সুস্বাদু। বিরতির সময় আমরা কিনে খাই।

এস/ আই. কে. জে/ 



মিষ্টি ল্যাংচা ঝিনাইদহের জনপ্রিয়

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250